অনলাইন ডেস্ক
গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী কর্মী আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের গ্রামের বাড়ি তৈরিতে আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কোনো অর্থ দেয়নি বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফাউন্ডেশন জানায়, রিয়াদের মা রেজিয়া বেগম যেসব তথ্য দিয়েছেন, তা তাদের রেকর্ড অনুযায়ী সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রিয়াদ, তার বাবা আবু রায়হান বা মা রেজিয়া বেগম—এই তিনজনের কারও নামই ফাউন্ডেশনের উপকারভোগীর তালিকায় নেই। এমনকি তাদের বিকাশ নম্বরেও কোনো অর্থ পাঠানোর রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে রিয়াদের মা দাবি করেছেন, বন্যার পর সরকারের দেওয়া চার বান্ডিল ঢেউটিন বিক্রি করে এবং আস–সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দেওয়া ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তারা ঘর বানানোর কাজ শুরু করেছেন।
ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট:
গত ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে পাঁচ যুবক নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। শাম্মী আহমেদ বাসায় না থাকায় তার স্বামীর কাছে এ দাবি করা হয়। এর আগে তারা ওই বাসা থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন এবং পরে আবার স্বর্ণালংকার আনতে গেলে পুলিশ খবর পেয়ে রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ছয়জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করেন।