অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজের পাশে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবির সদস্যরা এতে অংশ নিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই ঢাকার বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট তৌকির ইসলাম সাগর, যাঁর এটি ছিল প্রথম একক (সোলো) ফ্লাইট। এর আগে তিনি ডুয়াল ফ্লাইট পরিচালনা করেছিলেন।
বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানটি টেকঅফ করার কিছু সময় পরই রিঅ্যাক্ট করছিল না। কিছুক্ষণের মধ্যেই এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্টল করে। তখনই তাঁকে মোবাইল টাওয়ার থেকে ‘ইজেক্ট’ করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু বিমানটি এত নিচুতে ছিল যে তা সম্ভব ছিল না। তৌকির চেষ্টা করেছিলেন বিমানটিকে দিয়াবাড়ির ফাঁকা জায়গায় নামাতে, তবে তা সফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিমানটি মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় গিয়ে আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার পর জানা যায়, শুরুতে তৌকিরের পালস পাওয়া গিয়েছিল, তবে পরে তিনি মারা যান। তাঁকে হেলিকপ্টারে করে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
তৌকিরের বন্ধু ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছিলেন, অনেকক্ষণ পর তৌকিরের খোঁজ পাওয়া যায় এবং তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় ছিলেন। তখনও তিনি জীবিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।
এ দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং আহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। পুলিশ জানায়, মাইলস্টোন স্কুলের পাশেই একটি বিকট শব্দে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে অংশ নেন।