অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কে যানবাহন চলাচল এবং ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে বিএনপির দুই নেতার মধ্যে বিরোধের কারণে। ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের দুই সাবেক নেতার অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ঘটনাটি শুরু হয় বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ১২টার দিকে। শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাট দখলে নেন যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মোমিন দিদারের লোকজন। এরপর ছাত্রদলের সখিপুর থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিসান বালার অনুসারীরা চাঁদপুর-শরীয়তপুর সড়কের বালার বাজার এলাকায় যানবাহন আটকে দেন। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থার উন্নতি হয়নি।
এতে করে ওই রুটে যানবাহন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে এবং দুই কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন ফেরি পারাপার করতে পারছে না।
ঘটনার সূত্রপাত বিআইডব্লিউটিএর ইজারা নিয়ে। বর্তমান অর্থবছরে ফেরিঘাটের ইজারা পান জিসান বালা। তিনি বলেন, বৈধভাবে ইজারা নিয়ে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। কিন্তু আগের ইজারাদার মোমিন দিদার তা মানছেন না এবং জোর করে ঘাট দখল করে নিয়েছেন।
অন্যদিকে মোমিন দিদার বলেন, ইজারা পরিচালনার সময় তিনি লোকসানে পড়েন এবং আদালতে যান। উচ্চ আদালত তাঁকে তিন মাসের জন্য টোল আদায়ের অনুমতি দিয়েছেন বলেই ঘাটে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি ওবায়দুল হক বলেন, বিষয়টি সমাধানে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও র্যাবকে জানানো হয়েছে। সব পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ঘাটের ব্যবস্থাপক জানান, বিএনপির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে ফেরিঘাটে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তাই সড়কে যানবাহন বন্ধ থাকায় ফেরি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুর নৌবন্দরের কর্মকর্তা বশির আলী খান বলেন, একজনকে ইজারাদার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে যেহেতু মামলার কোনো কপি হাতে আসেনি, তাই তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি। স্থানীয় প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।