অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আপনারা যেসব ইসলামি দল, জিয়াউর রহমানের দয়ায় এই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। এখন তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানকে টার্গেট করছেন। আপনাদের বুক–পিঠ বলে কিছু নেই।”
তিনি বলেন, “এরশাদ যখন বন্দুকের নল দিয়ে গণতন্ত্র হত্যা করলেন, তখন আপনারা সেই এরশাদের অধীনে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে নির্বাচনে গেলেন। আপনারা সব সময় সুবিধা খুঁজে বেড়ান।”
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রিজভী। সেখানে জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া পরিবারগুলোর মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী বলেন, “আমরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। চেয়েছি দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কিন্তু এতদিনেও নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি কেন? জনগণের মনের ভাষা বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন, বিএনপির ২৩ জন ও এক রিকশাচালক পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। এই আন্দোলন কোনো একক দলের ছিল না, বরং ১৬ বছরের সম্মিলিত সংগ্রামেই শেখ হাসিনার মতো একজন খুনিকে বিদায় করা সম্ভব হয়েছে।”
রিজভী আরও বলেন, “১৯৮৬ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে আমি ছাত্রনেতা ছিলাম। তখন আমরা কোনো অভ্যুত্থানকে নিজেদের একক কৃতিত্ব বলে দাবি করিনি। কিন্তু এখন অনেকে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করছেন, যা ঠিক নয়।”
মিটফোর্ড হাসপাতালে ছাত্রদলকর্মী সোহাগ হত্যার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শুধু বহিষ্কার নয়, মামলাও দেওয়া হয়েছে। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ অপকর্ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার করবেন না। যদি করেন, তবে তার প্রতিক্রিয়া আপনাদের দিকেই ফিরবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান। আরও বক্তব্য দেন আমরা বিএনপি পরিবারের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসেন কায়কোবাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রামের অভ্যুত্থানে নিহত ১০ শহীদ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।