বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন বলেছেন, “আমার লক্ষ্য শুধু মেয়র হওয়া নয়। এই আন্দোলন কোনো পদ পাওয়ার জন্য নয়।”
বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর যমুনা ভবনের সামনে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তব্য শেষে ইশরাক তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তায় বসে পড়েন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মাত্র একটি পদ নিয়ে তারা যা করলো, তা দেখে বোঝা যায় জাতীয় নির্বাচনে তারা কী করতে পারে। আমরা চাই ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হোক।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “নতুন একটি দল নিয়ে আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু সরকারের দুজন উপদেষ্টা এমনভাবে ভূমিকা রাখছেন যাতে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। এই অবস্থায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ করা উচিত। অপর উপদেষ্টাকেও পদ ছাড়তে হবে।”
ইশরাক আরও বলেন, “তারা যেন সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজ নিজ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। কোনোদিনই শপথ নেওয়াই আমার উদ্দেশ্য ছিল না। রায় পেয়েও বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এটি কারও ব্যক্তিগত পদের জন্য আন্দোলন নয়, এটি একটি জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন।”
তিনি বলেন, “আমরা একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ চাই। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ আন্দোলন ছেড়ে যাবে না।”
নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে ইশরাক বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। এর রায় মেনে চলতে হবে। কিন্তু একে জিম্মি করার চেষ্টা চলছে। এই নির্বাচন কমিশন কি নিরপেক্ষভাবে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে?”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আরেকটি স্বৈরাচার যেন এই দেশে জন্ম না নেয়। যদি নেয়, তবে আমরা শেখ হাসিনার শাসনের মতোই উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।”
এর আগে, বুধবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে ইশরাক সমর্থকদের সঙ্গে রাজপথে নামার ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, “আন্দোলনকারী জনতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে এবং যতদিন প্রয়োজন রাজপথে থাকতে আমি খুব শিগগিরই উপস্থিত হব ইনশাআল্লাহ।”
দুপুরে আরেকটি পোস্টে তিনি সমর্থকদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমার নির্দেশ একটাই— যতক্ষণ প্রয়োজন, রাজপথ ছেড়ে ওঠা যাবে না। ডিএসসিসির মেয়র পদে শপথ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”