ডেস্ক রিপোর্ট
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার একটি মসজিদে সুদ-ঘুষ ও সমাজের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় চাকরি হারাতে হলো এক ইমামকে। স্থানীয় মুসল্লিদের প্রতিক্রিয়ার মুখে শেষ পর্যন্ত ইমামতি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তিনি।
জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী সরকারপাড়া জামে মসজিদে প্রায় চার বছর ধরে ইমামতির দায়িত্বে ছিলেন হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম। সম্প্রতি এক জুমার বয়ানে তিনি সমাজে প্রচলিত সুদ, ঘুষ ও জুলুমের বিরুদ্ধে ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। এতে মসজিদের কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এর আগেও, গত বছর ছাত্র-জনতার একটি আন্দোলনের সময় তিনি জুলুমের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তখন তাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর থেকেই তাকে নানা ভাবে অপমান ও অবহেলা করা হয়। এমনকি গেলো রমজানে তাকে তারাবির নামাজ পড়াতেও দেওয়া হয়নি।
ইমাম হামিদুল ইসলাম বলেন, “আমি চার বছর ধরে ওই মসজিদে দায়িত্ব পালন করছি। ইসলামের আলোকে সমাজের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, কিন্তু সেটিই আমার বিরুদ্ধে যায়। শেষ পর্যন্ত ইমামতি ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম।”
মসজিদের এক পরিচালনাকর্তা ছামছুল সরকার বিদ্যুৎ বলেন, “ইমাম সাহেবকে রাজাকারের বাচ্চা বলা হয়েছিল এটা সত্যি। তবে এখন আর নতুন করে ঝামেলা বাড়াতে চাই না।”
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, “বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে ঘটনাটি শুনে খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় মনে হয়েছে।”
এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ধর্মীয় জায়গা থেকে সত্য কথা বলায় একজন ইমামকে এভাবে অপমানিত ও পদচ্যুত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।