বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এই নিম্নচাপ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী সোমবার (২ জুন) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি চলবে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, গত ২৪ মে টেকনাফ দিয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, যা বর্তমানে বেশ সক্রিয়। এই সক্রিয়তার কারণেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইতোমধ্যে বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রংপুর বিভাগে বিস্তার লাভ করেছে। এসব এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি এবং কিছু কিছু জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশে সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং তা উপকূল অতিক্রম করে সাতক্ষীরা ও আশপাশে স্থলভাগে অবস্থান নেয়। এটি এখন উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নিম্নচাপের কেন্দ্র ঢাকা ও আশপাশে অবস্থান করছে এবং এটি ধীরে ধীরে সিলেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ শুক্রবার (৩০ মে) দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।
ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবারও একই রকম আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। রোববার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বেশি এবং অন্যান্য বিভাগে কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সোমবারও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।
এদিকে, উপকূলীয় অঞ্চলে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি ও ভারী বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। নদনদীর পানি ফুলে ওঠে এবং জোয়ারের সময় ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার পানি গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়ে।
চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।