দুর্নীতির এক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এ রায় দেন। এর ফলে সব মামলায় দণ্ড ও সাজা থেকে মুক্তি পেলেন তারেক রহমান।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ ছিল, তারেক রহমান ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া, তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। পরে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জুবাইদা রহমান স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছাড়েন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর, ২০২৪ সালের ৬ মে দেশে ফিরে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। এরপর মামলাটির বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
১৩ মে তিনি হাইকোর্টে বিলম্ব মাফ করে আপিল করার অনুমতি চান এবং আদালত তা মঞ্জুর করে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মাফ করে দেন। পরদিন তিনি আপিল ও জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট শুনানি গ্রহণ করে তাকে আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত জামিন দেন।
রায় ঘোষণার আগে গত ২৬ মে আপিল শুনানি শেষ হয়, এরপর ২৮ মে চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়। শুনানিতে তারেক ও জুবাইদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও মো. জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আসিফ হাসান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল করিম।
উল্লেখ্য, ২০২3 সালের ২২ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকার জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে, শর্ত ছিল তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল করবেন।