বর্তমান সরকারের শীর্ষ থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এই সরকার যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে আওয়ামী লীগ যতটুকু ক্ষতি করেছে, তার চেয়েও বড় ক্ষতি হবে দেশের।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশের নাম ছিল— তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার একসময় জনগণের প্রত্যাশা ও আস্থার প্রতীক ছিল। কিন্তু গত নয় মাসে তাদের কার্যক্রমে জনগণ শুধু অবহেলা ও অবজ্ঞাই পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে।
মিয়ানমারের রাখাইন ইস্যুতে মানবিক করিডর তৈরির বিষয়ে তিনি বলেন, “এই বিষয়টিকে লাভ-লোকসানের দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। আমরা যেমন ছিলাম, তেমনই থাকতে চাই।”
সরকারকে উপনিবেশিক চরিত্রের বলে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, “সরকারে যারা আছেন, তাদের অনেকেই দেশের প্রকৃত নাগরিক নন।”
তিনি অভিযোগ করেন, দেশে চাঁদাবাজি বেড়েছে, অথচ এসব অপরাধের দায় বিএনপির ওপর চাপানো হচ্ছে। পুলিশের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “চাঁদাবাজদের কেন ধরছে না?”
সরকার নির্বাচন ও সংস্কারের কথা বললেও বাস্তবে কিছুই করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গত নয় মাসে তারা ব্যর্থ হয়েছে। আগামী নয় বছরেও কিছু করতে পারবে না।”
সরকারের ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতারা অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানান। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।