জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা সারোয়ার তুষার ও এক তরুণীর ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। অডিওটি নিয়ে মুখ খুলেছেন সংশ্লিষ্ট নারী ও সারোয়ার তুষার উভয়েই। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্টে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন সারোয়ার তুষার।
অডিওর নারী কণ্ঠটির পরিচয় প্রকাশ করে নিজেই তা স্বীকার করেছেন তরুণী নীলা ইসরাফিল। তিনি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ভাইরাল হওয়া অডিওটি তারই কণ্ঠে।
অন্যদিকে, সারোয়ার তুষার তার বক্তব্যে জানান, ‘ক’ নামে উল্লেখিত ওই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে। এক পর্যায়ে, আহত অবস্থায় তিনি এনসিপির একটি অফিসে আসেন এবং দলটির সদস্যরা তাকে চিকিৎসা ও সহায়তা দেন। সেই থেকেই পরিচয় ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়।
তুষার দাবি করেন, “ফোনালাপটি পরিকল্পিতভাবে রেকর্ড করে তার অজান্তেই ফাঁস করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চলছে।” তিনি বলেন, “আমি গোপন কোনো কুপ্রস্তাব দিইনি বরং কথোপকথনের প্রেক্ষাপট পুরোপুরি উপেক্ষা করে অডিওর একটি বিশেষ অংশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই পুরো প্রচারণার পেছনে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট কাজ করছে, যারা এনসিপিকে টার্গেট করে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে চায়। এনসিপির নিবন্ধন আবেদন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দলের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে এই আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে।”
তুষার তার পোস্টে ওই নারীর রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, “তরুণীটি এনসিপির কোনো পদে নেই এবং সাংগঠনিকভাবেও তিনি দলের অন্তর্ভুক্ত নন। এনসিপিতে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার কোনো সিদ্ধান্তও কখনো গৃহীত হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি নিঃসন্দেহে ত্রুটিমুক্ত নই, কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে এবং আমার দলকে অপদস্থ করতে এই কৌশল নেয়া হয়েছে। এনসিপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ আক্রমণ।”
সবশেষে তুষার বলেন, “আমি দলের কাছে লিখিত জবাব দেবো। এবং সংশ্লিষ্ট নারীকে নিয়েও কোনো কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য না করার অনুরোধ করছি। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনলাইন ট্রায়াল চলা উচিত নয়।”