অনলাইন ডেস্ক
অগ্নিদগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় ৭০ থেকে ৮০ ধরনের সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসব সরঞ্জাম এমন পরিমাণে মজুত রয়েছে, যা দিয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে। এরপর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে সিঙ্গাপুর থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দুজন নার্স বাংলাদেশে আসবেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যেসব রোগীর দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়, প্রয়োজনে তাদের সরকারি খরচে বিদেশে পাঠানো হবে।
সায়েদুর রহমান আরও জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আইএসপিআর জানিয়েছে, ৩১ জন নিহত হয়েছেন। তবে সরকার মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে—এর মধ্যে সিএমএইচে ১৯ জন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন। এ ছাড়া উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের কাছে দুজনের মরদেহ রয়েছে। তবে তারা এখনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি, ফলে মৃত্যুর সংখ্যার বিষয়ে নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে বার্ন ইউনিটে ৬৬ জন এবং সিএমএইচে ৩ জন। ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং ১০ জনের অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এছাড়া ছয়টি অজ্ঞাত মরদেহ সংরক্ষিত আছে। চারজন অভিভাবক ইতোমধ্যে ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। মিল পাওয়া গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ঘণ্টায় ঘণ্টায় তথ্য আপডেট দেওয়া হবে। সেখান থেকেই সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ করার অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল থেকে একটি মরদেহ সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে, যেটিকে ঘিরেও সংখ্যাগত কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে সব তথ্য শিগগিরই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এই সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরাও উপস্থিত ছিলেন।