অনলাইন ডেস্ক
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর-১ আসন থেকে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এই পদ্ধতি শুধু ভোটের মূল্য নিশ্চিত করে না, বরং মনোনয়ন বাণিজ্য, টাকার অপব্যবহার এবং নির্বাচনী দুর্নীতিও রোধ করতে পারে।
শুক্রবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় পিরোজপুর পৌর জামায়াত আয়োজিত কর্মীসভা ও জনসংযোগ কার্যক্রম এবং ভাড়ানিখাল খননকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে জামায়াত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তোলে, তা পরে দেশের জনগণ এবং রাজনৈতিক নেতারা যৌক্তিক বলে স্বীকৃতি দেন। ঠিক তেমনি, পিআর পদ্ধতির উপকারিতাও একটু পরে হলেও সবাই উপলব্ধি করবে।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে যে রাজনৈতিক দল যত শতাংশ ভোট পায়, সে অনুযায়ী জাতীয় সংসদে তাদের আসন বরাদ্দ হয়। এতে ভোটের সঠিক প্রতিফলন ঘটে, কোনো ভোট নষ্ট হয় না এবং জনগণের নানা মত ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদী শাসন। মাসুদ সাঈদীর ভাষায়, “জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের মূল চেতনা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। তা বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সর্বাত্মক সংস্কার করতে হবে।”
তিনি বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া মানুষদের স্বজন এবং সাধারণ জনগণের দাবি— আগে খুনিদের বিচার, তারপর নির্বাচন। ইন্টারিম সরকারকে সেই বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার দৃশ্যমান করতে হবে। না হলে, যে-কোনো নির্বাচনই আবার ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটাতে পারে, যা দেশের মানুষ মেনে নেবে না।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জহিরুল হক, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক শেখ, পৌর আমির ইসহাক আলী খান, সেক্রেটারি আল আমিন শেখ, সহকারী সেক্রেটারি আনসারুজ্জামান হালিম, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আমির মোদাচ্ছের হোসাইন, সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, পিরোজপুর বাজারের সভাপতি কবির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।