অনলাইন ডেস্ক
২০২৬ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
তিনি জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামের গল্প পৌঁছে দিতে পাঠ্যপুস্তকে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক চারটি জাতীয় নির্বাচনের তথ্যও পাঠ্যবইয়ে যোগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিকের পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচন, ২০১৪ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন, ২০১৮ সালের রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালের ‘ডামি নির্বাচন’-এর বিবরণ যুক্ত করা হবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণও সংক্ষিপ্ত আকারে থাকবে। শুরুতে এটি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব এলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসি) সেটি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভায় প্রথমে অষ্টম ও দ্বাদশ শ্রেণির বই থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে, তবে পরে সংক্ষেপে রাখার বিষয়ে সবাই একমত হন।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী জানান, অষ্টম শ্রেণির বইয়ে আগেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল, এবারও থাকবে—তবে সংক্ষিপ্ত আকারে। একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এছাড়া নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বই থেকে ‘রহমানের মা’ গল্প এবং ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ নাটক বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ধর্মীয় অনুভূতি ও অশ্রাব্য ভাষার কারণে। আর জুলাই আন্দোলন বিষয়ক ‘আমাদের নতুন গৌরব গাথা’ প্রবন্ধে বিকৃতি ও নাম গোপনের অভিযোগ থাকায় সেটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা সূত্র জানিয়েছে, নতুন পাঠ্যক্রমে আওয়ামী লীগকেন্দ্রিক অতিবন্দনা বাদ দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ ইতিহাস উপস্থাপন করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ইতিহাস, বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও পৌরনীতি বইয়ে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার প্রসঙ্গ এবং বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর বাস্তব চিত্রও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।