অনলাইন ডেস্ক
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তিন মাইল সুরিভিটা এলাকায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভয়াবহ এই ঘটনার সময় তাঁর দুই বছরের অসুস্থ ছেলের গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ভুক্তভোগী নারী পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর পরই পুলিশ সদর উপজেলার জগদল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৪ জুলাই) গভীর রাতে। ওই নারী তাঁর অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে ইজিবাইকে করে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অপর একটি ইজিবাইকে থাকা পরিচিত একজন চালক নাম ধরে ডাক দিলে তিনি থামেন। এরপর জনি ইসলামসহ ছয়জন তাঁকে রাস্তার পাশের একটি চা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলের গলায় ছুরি ধরে তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁকে অচেতন অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারী ও তাঁর শিশুপুত্রকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং সাতমেড়া ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, “আমার ছেলের গলায় ছুরি ধরে তারা আমাকে ভয় দেখায়। আমি বাধা দিতে পারিনি। এরপর একে একে ৬ জন আমাকে ধর্ষণ করে। আমি এখন হাসপাতালে, অথচ আমার আত্মীয়দের কেউ কেউ আপোষ করতে বলছে। আমি দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, “নারীর জ্ঞান ফেরার পর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।”
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আবুল কাশেম জানান, “নারীকে হাসপাতালে আনার সময় তিনি অচেতন ছিলেন। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত তিনি অবজারভেশনে আছেন।”