অনলাইন ডেস্ক
নিজেদের স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ নানা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছে ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। দ্রুত দাবি পূরণ না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের স্লোগানের মধ্যে ছিল— “মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন মানি না, মানব না”, “ছাত্র আন্দোলন দুর্বার হোক, ভাড়া ক্যাম্পাস শেষ হোক”, “স্থায়ী ক্যাম্পাস মানতে হবে, প্রতারণা ভাঙতে হবে”, “আজকের সংগ্রাম আগামী প্রজন্মের অধিকার”, “শিক্ষা ব্যবসা একসাথে চলে না”, “এক দুই তিন চার, ভিসি তুই গড়ি ছাড়” ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৫ দফা দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেছিলেন তারা। শুরুতে প্রশাসন দাবিগুলোকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে মেনে নিলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি হলো স্থায়ী ক্যাম্পাস। তারা আশঙ্কা করছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস না হলে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘রেড লিস্ট’-এ ফেলতে পারে। এতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস সার্ভিস চালু, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, লাইব্রেরিতে প্রয়োজনীয় বই সংযোজন, মুট কোর্ট রুম, ছাত্র সংসদ গঠন, রেজিস্ট্রেশনে জরিমানা বন্ধ এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবিও জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন,
“আমরা ৫ আগস্ট থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসসহ ১৫ দফা দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো দাবি বাস্তবায়িত হয়নি। ইউজিসি আমাদের রেড লিস্টে ফেললে আমরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়ব। দাবি পূরণ না হলে আমরা মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”
আরেক শিক্ষার্থী সানজিদা জান্নাত সায়েমা বলেন,
“আমরা মুট কোর্ট রুম, স্থায়ী ক্যাম্পাস ও শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি জানিয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছু হয়নি। ফলে আমরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।”
এর আগে গত সোমবারও একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরও শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। তখনও আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এ কারণে আন্দোলন এখন আরও তীব্র আকার ধারণ করছে।
		