জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানে সব পক্ষের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অতীতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বও পালন করেছেন। গত মার্চে সি আর আবরার নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিলেও বর্তমানে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ শুধু পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিছু দাবির সঙ্গে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত থাকায় বিষয়টি তাঁর আওতার মধ্যেই পড়ে। বিশেষ করে একনেক সভার অনুমোদনের বিষয়টি এখানে প্রাসঙ্গিক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁদের তিন দফা দাবিতে ঢাকার কাকরাইল মোড়ে টানা তিন দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এই প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়নি। এই উপেক্ষাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।”
তিনি জানান, গত বছরের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর গঠনমূলক আলোচনা হয়েছিল। সে সময় শিক্ষার্থীরা জানতেন না যে, শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে একনেক সভায় কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রস্তাব ইতিমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
একনেক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অধিগ্রহণকৃত জমিতে আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও সুপরিকল্পিত একটি ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে চলমান নির্মাণ কাজগুলো, যেগুলো ঠিকাদার অসমাপ্ত রেখে গিয়েছিলেন, সেগুলো দ্রুত শেষ করার নির্দেশনাও ছিল। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই কাজ দেওয়ার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই বলেও জানানো হয়।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, “দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় সুনির্দিষ্ট প্রকল্প প্রস্তাব একনেকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হলে দ্রুত অনুমোদন পাওয়া সম্ভব। শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। আমি আশাবাদী, সব পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতায় সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে। কারণ, শিক্ষার পরিবেশে ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।”