জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে সরকার একটি বিশেষ কমিটি গঠন করছে। এতে নেতৃত্ব দেবেন ইউজিসির একজন সদস্য, সঙ্গে থাকবেন জবির উপাচার্য, শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দুই অতিরিক্ত সচিব এবং সেনাবাহিনীর একজন প্রতিনিধি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে জবির জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি, কেরানীগঞ্জে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং আবাসিক হল তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি ৪ দিনের আন্দোলন ও অনশনের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান সরেজমিনে গিয়ে দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় জবির উপাচার্যকে তিন দিনের মধ্যে আবাসিক হল নির্মাণের প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরপরই কাজ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
তবে সরকার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তির প্রস্তাবে এখনই রাজি নয়, কারণ বিশ্বের কোথাও এমন উদাহরণ নেই বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আবাসন সংকটে ভুগছে। পুরান ঢাকার অনেক আবাসিক হল বেদখল হয়ে গেছে। ২০২৩ সালে সরকার কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমিতে নতুন ক্যাম্পাসের অনুমোদন দেয়, কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর কাজ থেমে যায়। চলতি বছর জানুয়ারিতে এই প্রকল্প সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়, যদিও তারা এখনও তা বুঝে পায়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা বাজেট বরাদ্দে বৈষম্যের শিকার। ইউজিসি থেকে বরাদ্দ পাওয়া অর্থ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কম। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সব পক্ষের সহযোগিতায় সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান হবে।