ডেস্ক রিপোর্ট
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এসব কমিটির মধ্যে ডুমুরিয়া ইউনিয়নের একটি পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
এই ইউনিয়নে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে নাম এসেছে রাজ তালুকদারের। কিন্তু কিছু সময় না যেতেই রাজ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন—তিনি এই কমিটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং রাজনীতির সঙ্গেও কখনো যুক্ত ছিলেন না, ভবিষ্যতেও থাকতে চান না।
তার এই স্পষ্ট বক্তব্য স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই রাজের অবস্থানকে স্বচ্ছ ও সাহসী বলে মন্তব্য করছেন, আবার কেউ কেউ ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
রাজ তালুকদার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “আসসালামু আলাইকুম, আমি রাজ তালুকদার। আজকে ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে আমাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। ওই কমিটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমি আগেও কোনো রাজনীতির সঙ্গে ছিলাম না, ভবিষ্যতেও থাকব না।”
এ বিষয়ে কথা বললে রাজ তালুকদার জানান, “কমিটিতে নাম আসার খবর পেয়ে আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি কখনো কোনো রাজনীতির সঙ্গে ছিলাম না। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ককে বিষয়টি জানিয়েছি এবং নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছি।”
তবে ভিন্ন দাবি করেছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, “রাজ তালুকদার নিজেই আমাদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছিল কমিটিতে যুক্ত হওয়ার জন্য। এখন সে যে অবস্থান নিচ্ছে, তা আমাকে বিস্মিত করেছে। আমরা বিষয়টি হাই কমান্ডকে জানিয়েছি এবং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে কমিটি গঠনের আগে সদস্যদের সম্মতি ছাড়া নাম ঘোষণা করা হয়?
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ও স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলছে, আর সাধারণ জনগণের মাঝেও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।