গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে আশার আলো দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। যদিও আলোচনার বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে আসছে। খান ইউনিস ও রাফাহসহ অনেক শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হয়ে ক্ষমতায় আসেন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প। তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই গাজায় যুদ্ধ থামার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডেরমার আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে গাজা ও ইরান ইস্যুতে আলোচনা করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত কমিয়ে আবারও ‘আব্রাহাম চুক্তি’ সম্প্রসারণের চেষ্টা করছেন, যাতে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক সহজ হয়।
এদিকে গাজায় মানবিক সহায়তার জন্য বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’-এ ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “গাজায় খুবই খারাপ অবস্থা চলছে। আমরা অনেক মানুষকে বাঁচাতে চাই। আমরা সরাসরি এই সংঘাতে না থাকলেও, একভাবে জড়িত—কারণ সেখানে বহু মানুষ মারা যাচ্ছে।”
তবে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, গাজায় কিছু ‘খারাপ মানুষ’ ত্রাণ লুট করছে। উল্লেখ্য, এই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত ত্রাণবাহী ট্রাকের কাছে ভিড় করা ফিলিস্তিনিদের ওপর একাধিকবার গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এখন পর্যন্ত এসব হামলায় ৫০০-র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
সব মিলিয়ে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা, মানবিক সহায়তা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা—এই তিনটি দিক থেকে গাজা পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ মোড় স্পষ্ট হয়ে উঠছে।