ডেস্ক রিপোর্ট
ইসরায়েল গাজাগামী একটি ত্রাণবাহী জাহাজ আটক করেছে। ইতালি থেকে রওনা হওয়া ‘ম্যাডলিন’ নামের জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে জোর করে ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। জাহাজে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মীসহ মোট ১৩ জন ছিলেন। খবর: আল জাজিরা।
আটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, আল জাজিরার সাংবাদিক ওমর ফায়াদ, ফরাসি চিকিৎসক বাপতিস্ত আন্দ্রে, ব্রাজিলের থিয়াগো অ্যাভিলা, ইউরোপীয় এমইপি রিমা হাসান, ও তুর্কি মানবাধিকারকর্মী সুয়াইব ওর্দু। এছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের আরও কয়েকজন মানবিক সহায়তাকর্মী ছিলেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজ আটকানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করে সেটিকে ‘সেলফি ইয়ট’ বলে উপহাস করে। এই ভিডিওর তীব্র সমালোচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আদিল হক, যিনি একে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম অধিকার সংগঠন সিএআইআর জানায়, এটি ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ এবং ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’। জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেসকা আলবানিজ বলেন, গাজার ওপর অবরোধ তুলে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।
জাহাজটি গাজায় পৌঁছানোর আগেই এর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে ইসরায়েল। টেলিগ্রামে প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, জাহাজের যাত্রীরা হাত তুলে বসে আছেন—ধারণা করা হচ্ছে সেটি আটকানোর মুহূর্তের ছবি।
‘ম্যাডলিন’ জাহাজটি ১ জুন ইতালির কাতানিয়া থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এতে ছিল গাজার জন্য জরুরি ত্রাণ—চিকিৎসা সরঞ্জাম, শিশু খাদ্য, ডায়াপার, পানি বিশুদ্ধকরণ কিট, চাল, ময়দা, স্যানিটারি পণ্য ও কৃত্রিম অঙ্গ।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার মতে, গাজায় ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ এখন চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণ আটকে দেওয়াকে ‘অমানবিক’ বলছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।