গতকাল বৃহস্পতিবার ওটিপ্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে মুক্তি পেয়েছে সাইকো-থ্রিলার ধাঁচের ওয়েব সিরিজ ‘কানাগলি’। এটি পরিচালনা করেছেন তরুণ নির্মাতা আহমেদ জিহাদ।
সিরিজের গল্পে দেখা যায়—শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, একের পর এক নারী খুন হচ্ছেন। খুনির প্রধান অস্ত্র কাঁচি। খুনিকে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজকে। তদন্তে নামলেও তিনি বিষয়টির সুরাহা করতে পারেন না। এটা কি প্রতিশোধমূলক খুন, নাকি মানসিক বিকারগ্রস্ত কোনো খুনির কাজ? কেন শুধু নারীদেরই হত্যা করা হচ্ছে? খুনির পরিচয় কী? এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই এগিয়েছে ‘কানাগলি’।
এই ওয়েব সিরিজটি আহমেদ জিহাদের প্রথম নির্মাণ হলেও তিনি গল্পের পাশাপাশি চিত্রনাট্যও লিখেছেন। গল্প দিয়েছেন ঋদ্ধ শরিফ।
পরিচালক জিহাদ বর্তমানে সৌদি আরবে কর্মরত। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে ট্রেনে ঋদ্ধ শরিফের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত হন। একদিন ঋদ্ধ একটি গল্প শোনান, যেটা শুনেই জিহাদ সিদ্ধান্ত নেন এটি নিয়ে ওয়েব সিরিজ বানাবেন।
দুই বছর ধরে গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করার পর ২০২৩ সালে পুরান ঢাকা, উত্তরা, সাভার ও মানিকগঞ্জে শুটিং হয়।
পরিচালক বলেন, “অনেক শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ নানাভাবে অবহেলার শিকার হন। অনেকেই নীরবে সব সয়ে যান। কিন্তু কেউ যদি চরমে গিয়ে ফেটে পড়েন, তখন কী হতে পারে—সেই বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে এই গল্পে।”
তিনি আরও জানান, একের পর এক খুন হলেও প্রতিটি মামলার তদন্ত মাঝপথে থেমে যায়। তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘কানাগলি’—অর্থাৎ এক জায়গা থেকে আবার একই জায়গায় ফিরে আসা।
সিরিজে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা। আরও অভিনয় করেছেন আইশা খান, কাজী নওশাবা আহমেদ, আবু হুরায়রা তানভীর, লুৎফর রহমান জর্জ ও নাজিবা বাশার।
কাজী নওশাবা আহমেদ বলেন, “আমার চরিত্রটি অতিথি চরিত্র হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইতিবাচক ও নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ আছে এতে। আমি থ্রিলারধর্মী কাজ করতে পছন্দ করি। এই চরিত্রটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।”
পরিচালক জিহাদ আগে কিছু নাটক নির্মাণ ও চিত্রনাট্য লেখার কাজ করেছেন। একসময় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলেও যুক্ত ছিলেন। এই ওয়েব সিরিজটি প্রযোজনা করেছেন শরিফ আহমেদ।