রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সঙ্গে সোমবার এক বৈঠকে বলেছেন, ইরানের ওপর হামলা ছিল “অপ্ররোচিত” এবং “অযৌক্তিক”। তবে ইরানকে সরাসরি কোনো সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তিনি দেননি।
যদিও রাশিয়া বহুদিন ধরে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র, তবু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা চালানোর পর রাশিয়া প্রকাশ্যে শক্ত কোনো অবস্থান নেয়নি।
বৈঠকের শুরুতে টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে পুতিন বলেন, “ইরানের ওপর এই আগ্রাসন পুরোপুরি অযৌক্তিক।” তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করেননি।
এর আগে সোমবার, ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করা হয়। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”
রাশিয়া ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা করে। কিন্তু এরপরও রাশিয়া তেহরানকে কোনো সামরিক সহায়তার ঘোষণা দেয়নি।
যদিও কিছুদিন আগেই রাশিয়া ও ইরান একটি “কৌশলগত অংশীদারি চুক্তি” স্বাক্ষর করেছে, মস্কো এটিকে সামরিক জোট নয় বলেই দেখাচ্ছে।
পুতিন বলেন, “আমরা ইরানি জনগণকে সহায়তা করতে চেষ্টা করছি।” তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ইরানকে রাশিয়া কী সহায়তা দিতে পারে—এই প্রশ্নে পেসকভ বলেন, “সব কিছু নির্ভর করছে ইরানের চাহিদার ওপর। আমরা মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছি।”
এদিকে পুতিন দাবি করেছেন, ইরান এখনো রাশিয়ার কাছ থেকে কোনো সহায়তা চায়নি।
আরাঘচি রোববার সন্ধ্যায় মস্কো পৌঁছান। তিনি রুশ সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” হবে।