অনলাইন ডেস্ক
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ‘জুলাই বিপ্লব’ চলাকালে সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্রজনতার পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। সে সময় রাজপথে সরব থাকলেও পট পরিবর্তনের পর অনেকটা নীরব হয়ে যান এই অভিনেত্রী। কিছুদিন তিনি আড়ালে ছিলেন, দেখা মেলেনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আড়াল ভেঙে আবারও সক্রিয় হয়েছেন বাঁধন। নিয়মিত সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে মতামত জানাচ্ছেন।
গতকাল (১৩ জুলাই) নিজের একটি নো মেকআপ ছবিসহ দীর্ঘ একটি ক্যাপশন শেয়ার করেন বাঁধন। সেখানে তিনি লেখেন, “আমি অনেক ট্রমা বয়ে বেড়াই। কেউ আমাকে ভাঙতে চাইলে, আমি আরও শক্ত হয়ে উঠি।”
বাঁধন লিখেছেন, “আমি بطبيعভাবেই খুব আবেগপ্রবণ একজন মানুষ। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি—এর জন্য আমি সবসময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো নিজের মতো করে বাঁচার এবং নিজের কথা সৎভাবে বলার স্বাধীনতা। এটা কোনো খ্যাতি বা সম্পদের চেয়েও বড়।”
তিনি আরও লেখেন, “জীবনে এমন অনেক সুযোগ এসেছে, যা হয়তো আমাকে ক্ষমতা, সামাজিক মর্যাদা কিংবা স্থিতিশীলতা দিতে পারত। কিন্তু আমি সে পথ না বেছে স্বাধীনতাকেই বেছে নিয়েছি। কারণ, একবার যদি কেউ সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পায়—যেটা বাইরের কিছু নয়, বরং ভেতর থেকে অনুভব করা যায়—তাহলে আর পেছনে ফিরে যাওয়া যায় না।”
বাঁধনের ভাষায়, “হয়তো এই কারণেই কিছু মানুষ আমাকে পছন্দ করে না। হয়তো তাদের বিরক্তি আমার কথায় বা আচরণে নয়, বরং এই বিষয়ে যে আমি কাউকে আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিই না।”
তিনি আরও বলেন, “এই পথটা সহজ ছিল না। বরং অনেক কষ্ট আর বিশৃঙ্খলার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু এতে আমার ভেতরে একটা জিনিস তৈরি হয়েছে—কেউ আমাকে ভাঙতে চাইলে, আমি আরও শক্ত হয়ে উঠি। এটা শক্তি নাকি ত্রুটি, জানি না, তবে জীবন আমাকে এটাই শিখিয়েছে।”
সবশেষে বাঁধন লেখেন, “আমি অনেক ট্রমা বয়ে বেড়াই। আমি জানি PTSD (পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) কী। মাঝে মাঝে একেবারে ছোট ছোট ঘটনাও তা ট্রিগার করে। এটা আমার জীবনেরই অংশ—একটি অবাঞ্ছিত সঙ্গী, যাকে আমি চাইনি, তবুও যার সঙ্গে বাঁচতে শিখে গেছি।”
		