আওয়ামী লীগের দোসরদের ধরিয়ে দেওয়ার নামে জনতা দ্বারা মব গঠন বা ঘেরাওয়ের সুযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, “যদি কারো বিরুদ্ধে তথ্য থাকে, তা হলে পুলিশকে জানাতে হবে। পুলিশ বিষয়টি যাচাই করে ব্যবস্থা নেবে।”
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে হাজারীবাগে ঘটে যাওয়া দুটি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারসংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমণ্ডিতে একটি বাড়ি ঘেরাও করে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তারা ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ দাবি করে ওই বাড়ি ঘেরাও করেছিলেন। পরে পুলিশ তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক।
তাদের ছাড়িয়ে আনতে থানায় যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য
সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। পরে এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি।
গুঞ্জন রয়েছে, ওই বাড়ি ঘেরাওয়ের পেছনে চাঁদা না পাওয়ার বিষয় জড়িত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, “চাঁদা দাবির কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনার পর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন— কোনোভাবেই জনতার মব গঠন করে কাউকে কিছু করা যাবে না। তাই ভবিষ্যতেও কোনো বাড়ি ঘেরাও বা ‘ধরিয়ে দেওয়ার’ নামে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না।”
আটকদের ছাড়িয়ে আনতে হান্নান মাসুদের ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে ডিসি বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তাই সতর্কতামূলক মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মুচলেকায় স্পষ্ট বলা আছে, ভবিষ্যতে এমন কিছু করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।